একটি রক্তাক্ত বেগুনের গ�™্প

(১)
নাহ! কিছুতেই কপা�™ের টিপটি ঠিকভাবে বসানো যাচ্ছে না I
তবু�" হা�™ ছাড়ে না বিনু I সে কোথায় যেন পড়েছে টিপ একদম মাঝ বরাবর না বস�™ে নাকি স্বামীর ভা�™োবাসা পা�"য়া যায়না I আর আজ তো তার ভা�™োবাসা ছাড়া চ�™বেই না। আজ যে তাদের আ্যনিভার্সারি।
কথাটা মনে পড়েই মুচকি হাসে বিনু্ । �-ে�™ বছরই তাদের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে হাসান তার বাবার সমস্ত বিজনেস নিজের মনে করে দেখাশোনা করছে। আজকা�™ বৃদ্ধ শ্বশুরের জন্য এমন আর কয়জন করে। নিজের ভা�-্যের প্রতি সে রীতিমত �-র্ব অনুভব করে।
আজ সে অনেক সময় নিয়ে �-োস�™ করেছে, সাজু�-ুজু করেছে, হাসানের প্রিয় নী�™ শাড়ি পড়েছে। আটটা বাজতে আর দশ মিনিট বাকি। সাধারণত �" অফিস শেষে আটটার মধ্যেই চ�™ে আসে। বিনু নিশ্চিত যে হাসান তাকে সারপ্রাইজ দিবে। তার মতো রোমান্টিক একটা ছে�™ে সারপ্রাইজ দিবেনা এমন হতেই পারেনা !
সে নিজে�" কম না। পুরো বাড়ি সে আজ নানান ধরনের মোমবাতি দিয়ে আ�™োকিত করে রেখেছে। আধো আ�™ো আধো অন্ধকারে বাড়ির ভেতরটি যেন এক অতিপ্রাকৃতিক রুপ পেয়েছে। হাসানের পছন্দের আইটেম রান্না করেছে। তার অনেক পছন্দের একটি হ�™ বে�-ুনভাজি। হাসান এমনিতেই খুব স্মার্ট ছে�™ে, আর বিনুর�" তার প্রতি এটাই ছি�™ো ’ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ , তবু্�" এত কিছু থাকতে বে�-ুন যে কেন তার পছন্দ হতে �-ে�™ কে জানে!!
এমন সাতপাচ ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরে যায় বিনু। আজ �" আস�™ে অনেক আদর করে খা�"য়াবে তাকে।
(২)
হাসান মা�™িবা�-ের একটি আ�™িশান ফ্�™াটে থাকে। বেশ অনেক্ষন হ�™ো সে নিচে দাড়িয়ে আছে। পাশের একটি দোকান থেকে একটা সি�-ারেট ধরিয়েছে মাত্র। এমনিতে সে স্মোকিং করে না, কিন্তু টেনশান হ�™ে দু’একটা চ�™ে। মাথা ঠান্ডা থাকে। আর আজ মাথা ঠান্ডা রাখারই দিন। বিশেষ দিন।
প্রায় এক টানে সি�-ারেটটা শেষ করে পায়ের নিচে পিষে দেয় সে। নাহ! এই সস্তা জিনিস আর খা�"য়া যাবেনা। সি�-ার ধরতে হবে। হাজার হোক, এত�-ু�™ো �-ার্মেন্টস এর মা�™িক সে! ভাবতেই তার মুখে হা�™কা হাসি ফুটে �"ঠে। নিজের সাফ�™্যে সে নিজেই অবাক কারণ বিনুর বাবা যা �-োড়া মানুষ! তাকে যে এত তারাতারি বিশ্বাস করবে সে নিজে�" ভাবেনি।
আর দেরি করা যাবেনা। ধীর পায়ে, অ�™স ভঙ্�-িতে অ�-্রসর হয় সে। ক�™িং বে�™ এ হাত বাড়ায়।
অবশেষে বিনুর সারপ্রাইজ এর সময় চ�™ে এসেছে।
(৩)
রান্নাঘরেই ছি�™ বিনু। ক�™িং বে�™ের শব্দ পেয়েই ছুটে �-িয়ে দরজা খু�™ে দেয় সে। হাসানকে দেখেই মনটা থুশিতে ভরে যায। অভিমানী কিশোরীর মতো প্রায় সাথে সাথেই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আবার রান্নাঘরে চ�™ে যায়। বে�-ুন �-ু�™ো কেটেই রাখা আছে, শুধু ভাজতে হবে।
হাসান�" ইতিমধ্যে তার পিছু পিছু চ�™ে এসেছে। বিনু ইচ্ছে করেই এখনো কথা ব�™েনি তার সাথে। হাসান ভাববে যে সে রা�- করেছে আর তার রা�- ভাঙ্�-ানোর চেষ্টা করবে। বিনুর এসব থুব ভা�™ো �™া�-ে। তার খুব হাসি পায় কিন্তু মুখটা শক্ত করে রাখে। সে এমন ভান করে যেন সে খুব ব্যস্ত কিন্তু আঁড়চোখে ঠিকই হাসানকে দেখতে থাকে। দেখা যাক আজ সে কি করে।
(৪)
হাসান ঠিক বিনুর পেছনে দাড়িয়ে আছে। সে জানে মেয়েটা আশা করছে যে সে এখন তাকে উইশ করবে, সারপ্রাইজ দিবে। থাক তাকে আর অপেক্খায় রাখা ঠিক না। ধীর পায়ে এ�-িয়ে সে বিনুকে জড়িয়ে ধর�™।
বিনু হেসে ফে�™ে। ব�™ে ’হ্যাপি আ্যনিভার্সারি ডিয়ার হাসবেন্ড”
-’হ্যাপি আ্যনিভার্সারি”
-’আমার �-িফট কই?”
হাসান কিছু ব�™েনা, মৃদু হাসে শুধু। কেমন জানি এক অপরিচিত হাসি। বিনু কিছু ব�™ার আ�-েই থেমে যায় কারণ হাসান তার হাতে তু�™ে নিয়েছে ফ্রুট নাইফটি, আর বিনু কিছু বুঝতে পারার আ�-ে হাসান স্বর্বশক্তি দিয়ে সে তার পেটে ঢুকিয়ে দেয়। বিনু অবাক হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকে, যেন ব্যাথা অনুভব করতে ভু�™ে �-েছে। হাসানের সেই ক্রুর হাসির দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একসময় হা�™ ছেড়ে দেয় সে।
(৫)
হাসান হাঁপ ছেড়ে বাচে যেন। ঝামে�™া ছাড়াই কাজটা হয়ে �-ে�™।
’কি ব্যাপার? কষ্ট পাচ্ছ নাকি তোমার বিনু ডার্�™িং এর জন্য?!” �" অভিমানী স্বরে বরে �"ঠে এক রমণী।
-’ একটু কষ্ট তো পাবই।”
-’কী! তুমি না আমায় ভা�™োবাসো? শুধু আমায়?”
-’আমি যে বে�-ুনভাজি �" পছন্দ করি। আর দেখো না, সব�-ু�™োতে রক্ত �™ে�-ে রয়েছে।”
হাহাহাহা করে হেসে �"ঠে দু’জনেই।
(চ�™বে)